কুমিল্লার কোয়াতালি থানার অন্তর্গত নানুয়া দীঘির পাড়ে পুজামন্ডপ এ কেও একজন হিন্দুদের দেবির পায়ের দিকে কোরআন শরীফ রেখে গেছে।
পবিত্র কোরআন আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। সুতরাং যারাই কোরআন অবমাননায় অংশ নিয়েছে বা নেবে তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি । ইরশাদ হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৭-৮)
একবার সাহাবি আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) তাঁর ছাত্রদের বলেন, ‘জেনে রাখো, কোরআন (অনুসারীর পক্ষে ও অবমাননাকারীদের বিপক্ষে) এমন সুপারিশকারী, যার সুপারিশ কবুল করা হবে। অতএব যে কোরআনের অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (ফাজায়েলে কোরআন, ইবনে
কাসির : ১৫১ )
পবিত্র কোরআনের যে অবমাননা করেছে তার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, সেখানে থাকা সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওইখানে কে কোরআন রেখেছে তা দেখা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।