কুমিল্লার ঘটনায় জরিতদেরকে অবশ্যই খুজে বের করা হবে জানালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধর্মীয় রাজনীতি

কুমিল্লার ঘটনায় যারাই দায়ি থাকুক, সবার ওপরেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, জানালেন প্রধন্মন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে বা যারা পবিত্র কোরআন এর অবমামনা করেছে তাদের কাউকে ছার দেওয়া হবেনা। প্রধানমন্ত্রী আরো জানানঃ আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। এখন ডিজিটাল যুগ, আমরা খুঁজে বের করব। সে যেই হোক না কেন, আর যে ধর্মের হোক না কেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করবই।’

তিনি ধর্মভেদ কে দূরে রেখে আরো বললেন, আমি আগে বিভিন্ন মন্দিরে যেতাম, ঘুরতাম, খেতাম। এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পারি না। আমি বের হলেই জ্যাম লেগে যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে যেতাম। এখন একটা বড় জেলে বন্দি আছি। ২০০৭ একটা ছোটো জেলে ছিলাম।’

যারা এরকম যঘন্য কাজ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বললেন, কিছু মানুষের মধ্যে দুষ্ট বুদ্ধিটা আছে। যখন একটা জিনিস খুব সুন্দরভাবে চলছে তখন সেটা নষ্ট করা। বাংলাদেশে যখন উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সেই সময় এই যাত্রাটাকে ব্যাহত করা এবং দেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি করা।

যারা জনগণের আস্থা তৈরি করতে পারে না, বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না, রাজনীতি নেই, কোনো আদর্শ নেই তারাই এই ধরনের কাজ করে। এটা তাদের একটা দুর্বলতা। আমরা যদি এই বিষয়ে সবাই সচেতন থাকি তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্ম- বর্ণ এক সঙ্গে বসবাস করবে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লার ঘটনার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, সার্বজনীন যতগুলো পূজামণ্ডপ আছে, সেটা নিয়ে কোনো অসুবিধা হয় না। অসুবিধা হয়ে যায় যখন আলাদা আলাদা অস্থায়ী মন্দির বসিয়ে পূজা হয়। তখনই কিছু লোক সুযোগ পায় সেখানে সমস্যা সৃষ্টি করতে। কাজেই এ ক্ষেত্রে আপনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার যে মোট কয়টা জায়গায় হচ্ছে। এটা কিন্তু, ভারতেও আছে, কলকাতায় আছে। সেখানে কিন্তু সরকারের অনুমোদন ছাড়া নতুন করে পূজামণ্ডপ করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এখানে সে স্বাধীনতা আছে। আপনারা করতে পারেন। আমি চাইব আপনারাই পদক্ষেপ নিন। বিশেষ করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তাদের পক্ষ থেকে নীতিমালা থাকা দরকার। একটা নির্দেশনা থাকা দরকার যে কোথায় কতটা পূজামণ্ডপ হবে। সেটা যদি সীমিত আকারে থাকে তবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার সুবিধা থাকে। যেহেতু গতবার করোনার জন্য পূজা সীমিত আকারে হয়েছিল, এবারে উৎসাহ খুব বেশি। এক হাজার ৯০৫টা বেশি পূজামণ্ডপ তৈরি হয়েছে। কাজেই আপনারা এ বিষয়টা দেখবেন।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।